একদা পৃথিবীতে একজন মানুষের জন্ম হলো। সে তার চারপাশ দেখতে দেখতে ধীরে ধীরে বড় হতে লাগল এবং তার বাল্যকাল পার করলো। সে একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষ হয়ে ওঠার সাথে সাথে তার জীবনের সাথে কিছু ঘটনাও ঘটে গেল, যেটা কমবেশি সবারই জীবনে হয়ে থাকে।
ধীরে ধীরে তার চিন্তা ভাবনায় পরিবর্তন আসতে লাগলো এবং সে মনে মনে ভাবল এই গ্রামীণ পরিবেশ ছেড়ে আমাকে নগরায়নে যেতে হবে। একসময় সে শহরে আসলো কিন্তু শহরের চাকচিক্য পরিবেশ দেখে শুরুতে তার মনে কিছুটা খটকা লাগলেও ধীরে ধীরে সে পরিবেশের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে শিখলো। ধীরে ধীরে চারিদিকে তার পরিচিতি বাড়তে থাকে এবং একে একে সে বেশ পরিচিত হয়েও ওঠে।
হঠাৎ তার একদিন মনে হলো তার এই গদবাধা জীবন ভালো লাগছে না, তাই সে সিদ্ধান্ত নিল বনে জঙ্গলে ঘুরে বেড়াবে এবং বন জঙ্গলের পশুদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলবে। এভাবে সে বিভিন্ন বন-জঙ্গলে ঘুরে বেড়ায়, ধীরে ধীরে বিভিন্ন পশুদের সাথে তার সখ্যতা গড়েও ওঠে। এভাবে তার জীবন চলতে থাকলো ….
হঠাৎ তার জীবনে ঘটে গেলো এক অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা, হঠাৎ করে একদিন সে নতুন এক জঙ্গলে প্রবেশ করে এবং এই জঙ্গলের কিছু পশু তাকে আক্রমণ করে এবং এতে সে অনেক আহত হয়। আহত হয়ে সে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষন করলো এবং তাদের কাছে বিচার দিলো এবং ওই জঙ্গলের পশুদের শাস্তি দাবি করল।
বন বিভাগের কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞেস করল, আপনি কেন বনে জঙ্গলে ঘুরে বেড়ান? সে তার কোনো সদুত্তর দিতে পারে নাই। তারপরও বনবিভাগ সিদ্ধান্ত নিল বিষয়টি খতিয়ে দেখার এবং তাকে উপদেশ দিল ভালো-মন্দ বিচার করে চলার।
গল্পের শিক্ষা: একজন মানুষের বিবেক বোধ জাগ্রত হওয়ার পর, সে যদি ভালো-মন্দ বিচার করে চলতে না শিখে, তাহলে যেকোনো সময় তার ভয়ঙ্কর বিপদে পড়া সমীচীন।
বিঃ দ্রঃ এই গল্পটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক, যদি কারো জীবনের সাথে অথবা সাম্প্রতিক কোন ঘটনার সাথে মিলে যায় তাহলে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ-প্রকাশ করছি।