আমরা সবাই জানি শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে ও শরীরের ওজনের ভারসাম্য ঠিক রাখতে ব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এছাড়াও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, নিয়মিত ও পরিমিত শারীরিক পরিশ্রমের অভাবে শতকরা ১৭ ভাগ ক্ষেত্রে হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস, শতকরা ১২ ভাগ ক্ষেত্রে বৃদ্ধ বয়সে হঠাৎ পড়ে যাওয়াজনিত সমস্যাসহ আরও নানান রকম সমস্যায় আমাদের ভুগতে হয়।
সুতরাং শরীরের হাড়ের দৃঢ়তা বজায় রাখা, মাংসপেশীর সবলতা এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গসমূহের স্বাভাবিক চলন ক্ষমতা বজায় রাখতে ব্যায়ামের কোন বিকল্প নেই।
ছোট্ট একটি উদাহরণ দেয়া যাক:
আমরা সকলেই শ্যেন বা বাজপাখির নাম শুনেছি। এই বাজপাখি প্রায় ৭০ বছর জীবিত থাকে, অথচ ৪০ আসতেই এই পাখিটিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হয়। কারণ এই সময়ে তার শরীরের ৩ টি অঙ্গ দূর্বল হয়ে পড়ে:
১। পায়ের নখ লম্বা ও নরম হয়ে যায়। শিকার করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।
২। ঠোঁট সামনের দিকে মুড়ে যায়, ফলে খাবার খুটে বা ছিড়ে খাওয়া প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।
৩। ডানা ভারী হয়ে যায় এবং বুকের কাছে আটকে যাওয়ার দরুন উড়ান সীমিত হয়ে যায়।
ফলস্বরূপ শিকার খোঁজা, ধরা ও খাওয়া ৩ টি কাজই বাজ পাখির জন্য ধীরে ধীরে কঠিন হয়ে পড়ে। তখন তার জন্য ৩ টি পথ খোলা থাকে:
১। আত্মহত্যা।
২। শকুনের মতো মৃতদেহ খাওয়া।
৩। নিজেকে নতুন করে তৈরি করা।
বাজপাখি তার জীবনের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে একটা উচু পাহাড়ে বাসা বাধে আর শুরু করে নতুন করে বাঁচার প্রচেষ্টা। সে প্রথমে পাহাড়ের পাথরের সাথে বাড়ি মেরে মেরে তার ঠোট ও নখ গুলো ভেঙ্গে ফেলে। তার পর অপেক্ষা করে নতুন নখ ও ঠোট গজানোর। নতুন নখ ও ঠোট গজালে বাজপাখি ডানার সমস্ত পালক গুলো ছিড়ে ফেলে। প্রচন্ড কষ্ট সহ্য করে সে অপেক্ষায় থাকে নতুন পালক গজানোর জন্য।
সব মিলিয়ে ১৫০ দিনের কঠিন পরীক্ষার পর বাজপাখি আবার ফিরে পায় তার নতুন জীবন, হয়ে উঠে আগের চাইতে ও ক্ষিপ্র ও চৌকশ।
শিক্ষণীয়, আমাদের জীবনে ও অনেক উত্থান পতন আসে কিন্তু তাতে হার মানলে চলবে না। বয়স কোন বাধাই নয়, বাজপাখির মতোই আমরা আমাদের অতীত কে পিছনে ফেলে অন্তহীন শক্তি নিয়ে ইচ্ছে করলেই যুক্ত হতে পারি নতুন এক ভবিষ্যতের পথে সন্ধানে।
পরিশেষে, নিয়মিত ব্যায়ামের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিতে হবে এবং মনে করতে হবে এই অংশটি আপনার প্রাত্যহিক কাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আর যদি লেখাটি আপনার কোনো প্রকার উপকারে আসে তাহলে সবার সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
এই লিংকে গিয়ে পড়ে নিতে পারেন: যেভাবে ভালো থাকা বা আপনার কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করা যায়।
তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ: ইন্টারনেট।