সরাসরি যদি ক্লায়েন্ট আপনাকে পেমেন্ট করে থাকে বা আপনি যদি ট্রান্সফারওয়াইজ, মানিগ্রাম, ওয়েস্টার্ণ ইউনিয়ন, জুম ইত্যাদি মাধ্যম ব্যবহার করে আপনার ফ্রিল্যান্সিংয়ের অর্জিত অর্থ দেশে নিয়ে আসেন, তবে বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত যে কেউ দুই শতাংশ প্রণোদনা বোনাস পেতে পারে। কারণ প্রবাসীরাও একই (ট্রান্সফারওয়াইজ, মানিগ্রাম, ওয়েস্টার্ণ ইউনিয়ন, জুম ইত্যাদি) মাধ্যম ব্যবহার করে থাকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এবং এই মাধ্যমগুলো টাকা পাঠানোর বহুল ব্যবহৃত সার্ভিস জনসাধারণের জন্য।
আপনার লেনদেনের প্রকারগুলি যদি রেমিট্যান্স হিসাবে হয় (ট্রান্সফারওয়াইজ, মানিগ্রাম, ওয়েস্টার্ণ ইউনিয়ন, জুম ইত্যাদি) মাধ্যমে, তবে প্রতিটি ফ্রিল্যান্সার দুই শতাংশ প্রণোদনা বোনাস পাবে। দুই শতাংশ প্রণোদনা বোনাস আইটি ফ্রিল্যান্সারদের উপার্জনের বিষয়ে কিছু যায় আসে না, বিষয়টি আসলে লেনদেনের ধরণের উপর নিভর করে। যদি লেনদেনের প্রকারগুলি রেমিট্যান্স হিসাবে থাকে উপরোক্ত মাধ্যম অনুযায়ী, তবে আপনি দুই শতাংশ প্রণোদনা বোনাস পাবেন এবং এটি ১০০ ভাগ নিশ্চিত।
বৈধ উপায়ে রেমিট্যান্স প্রেরণের বিপরীতে দেড় লাখ টাকার বেশি আয়ের ক্ষেত্রে পনেরো দিনের মধ্যে কাগজপত্র রেমিট্যান্স প্রদানকারী ব্যাংক শাখায় দাখিল করতে হয়। বর্তমানে সার্বিক অবস্থায় গ্রাহকের সুবিধা বিবেচনা করে প্রতিবারে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার ডলার কমবেশি অথবা ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থ প্রেরণের জন্য কাগজপত্র ছাড়াই প্রণোদনা সুবিধা প্রযোজ্য হবে। এর বেশি আয় এলে পনেরো দিনের মধ্যে নথিপত্র দাখিল করার বাধ্যবাধকতা শিথিল করে দুই মাস পর্যন্ত বর্ধিত করা যায়। তবে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থ প্রেরণের এ সুবিধা আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত বহাল থাকবে। আর এই সময়সীমার পর বাংলাদেশ ব্যাংক যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। তথ্যসূত্র: প্রথম আলো
আমাদের স্থানীয় সকল ব্যাংক ইতিমধ্যে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত এবং যারা ট্রান্সফারওয়াইজ, মানিগ্রাম, ওয়েস্টার্ণ ইউনিয়ন ইত্যাদি মাধ্যম ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সিংয়ের অর্জিত অর্থ দেশে নিয়ে আসছে এবং তারাই এই দুই শতাংশ প্রণোদনা বোনাস হিসাবে গ্রহণ করছে। তবে আপনি যদি পেওনিয়ার এর মাধ্যমে অথবা মার্কেটপ্লেস থেকে সরাসরি আমাদের স্থানীয় ব্যাংকে ডলার ট্রান্সফার করেন তাহলে এই ক্ষেত্রে আপনি এই দুই শতাংশ প্রণোদনা বোনাস পাবেন না।
সুতরাং, বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের জন্য ট্র্যাক করা খুবই কঠিন এবং যদি সেগুলি সমাধান করা হয় তবে অনেক প্রবাসী ব্যবহারকারীরাও এ থেকে বঞ্চিত হবে এবং বাংলাদেশ সরকারের চূড়ান্ত লক্ষ্য প্রবাসী রেমিট্যান্স আয় বাড়াতে সফল হবে না।
আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমরা যে রেমিটেন্স বাংলাদেশে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নিয়ে আসি তার সকল তথ্য আমাদের বাংলাদেশ ব্যাংক তথা বা ফ্রিল্যান্সাররা যে ব্যাংকে তাদের একাউন্ট মেনটেন করে চলছেন সেখানে আছে বা লিপিবদ্ধ থাকে। আশা করি আপনি এখন দুই শতাংশ প্রণোদনা বোনাস বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। আর মনে রাখা জরুরী যে এই বিষয়টি (দুই শতাংশ প্রণোদনা বোনাস) সম্পূর্ণ বাংলাদেশ ব্যাংকের উপর নির্ভরশীল এবং বাংলাদেশ ব্যাংক যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে (দুই শতাংশ প্রণোদনা বোনাস প্রদানের ক্ষেত্রে।
আর এই লিংকে ক্লিক করে জেনেনিন কিভাবে টান্সফারওয়াজের মাধ্যমে দুই শতাংশ প্রণোদনা বোনাস পেতে পারেন।
একটু ভেবে দেখবেন কি?
বিষয়টি সম্পর্কে যারা জানতেন না বা কখনো এভাবে ভেবে দেখেননি, এখন চাইলেই আপনি এই টাকাটা সঞ্চয় করতে পারেন বা আপনি চাইলেই সুবিধাবঞ্চিত শিশু, গরীব-দুঃস্থ, খেটে খাওয়া মানুষদের সাহায্যার্থেও এগিয়ে আসতে পারেন। আমি সবসময় এভাবে চিন্তা করি এবং আমার ক্লায়েন্টের কাছ থেকে পাওয়া বোনাসের টাকাও সুবিধাবঞ্চিত শিশু, গরীব-দুঃস্থ, খেটে খাওয়া মানুষদের সাহায্যার্থেও ব্যয় করি।
পরিশেষে, এটাই বলতে চাই, জেনে এবং বুঝে কাজ করুন। যদি লেখাটি আপনার কোনো প্রকার উপকারে আসে তাহলে দয়াকরে সকল ফ্রিল্যান্সার ভাইদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না। দেশের জন্য এবং দেশকে ভালোবেসে কাজ করুন। মার্কেটপ্লেসে আমাদের কাজের গুণমান ঠিক রাখতে সহযোগিতা করুন। কোনো প্রকার প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করুন, আমি যথাসাথ্য চেষ্টা করবো আপনার প্রশ্নের উত্তর বা আপনাকে সহযোগিতা করার জন্য।