ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে ‘এনটিভি অনলাইন কানেক্টে’ আমরা দম্পতি নিজেদের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের পাশাপাশি ছিল আরো অনেক আলোচনা। অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে মৌলিক অনেক কিছু জানতে চান বা ইনবক্স করে থাকেন, আশাকরি আপনারা এখানে সবকিছুর উত্তর পাবেন। কিছুটা সময় নিয়ে দেখে নিতে পারেন।
প্রশ্ন-১: ফ্রিল্যান্সিং কী?
সুমন সাহা, আপনি বাংলাদেশের একজন সফল ফ্রিল্যান্সার। শোনা যায়, শুরুতে আপনি বেশ হোঁচট খেয়েছিলেন। কিন্তু দমে যাননি। ধৈর্য আর কঠোর পরিশ্রমের পর আপনার হাতের মুঠোয় ধরা দেয় সাফল্য। ফ্রিল্যান্সিংয়ের প্রথম কাজটি আপনি করেছিলেন মাত্র ৫ মার্কিন ডলারে। এখন প্রতি মাসে আপনি লক্ষাধিক টাকা আয় করেন। ফ্রিল্যান্সিংয়ে আপনার ক্যারিয়ার শুরুর গল্পটা শুনতে চাই। পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিংয়ে যারা আগ্রহী, তাদের স্বচ্ছ ধারণা দেওয়ার উদ্দেশ্যে একটু বলবেন কি? ফ্রিল্যান্সিং আসলে কী? ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিংয়ের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য কী?
সন্ধ্যা রায়, আপনিও দেশের একজন সফল ফ্রিল্যান্সার। ২০১৫ সালে বেসিসের বর্ষসেরা ফ্রিল্যান্সারের মধ্যে শীর্ষ তিনজনের একজন হিসেবে আপনি পুরস্কার পেয়েছেন। আপনার ফ্রিল্যান্সিংয়ে ক্যারিয়ার শুরুর গল্পটা শুনতে চাই…
প্রশ্ন-২: ফ্রিল্যান্সিং কোথায় করবে? কি কি স্কিল থাকতে হবে?
সুমন সাহা, আপনাদের মাধ্যমে আমরা ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারলাম। একজন তরুণ বা তরুণী ফ্রিল্যান্সিং করতে চান, সেটা পার্টটাইম বা ফুলটাইম যেটাই হোক। এখন প্রশ্ন সে কোথায় ফ্রিল্যান্সিং করবে? আমরা শুনেছি ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য বেশ কিছু মার্কেটপ্লেস রয়েছে। এই মার্কেটপ্লেসগুলো সম্পর্কে একটু ধারণা দেবেন কি? আপনি নিজে আপওয়ার্কে কাজ করেন। আপনি এক জায়গায় বলেছেন, এক আপওয়ার্ক আমাকে যা দিয়েছে তা আমার জীবনের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। আপওয়ার্কের আলাদা কোনো বিশেষত্ব আছে কি?
সুমন সাহা এবং সন্ধ্যা রায়, আপনারা দুজনেই কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করেছেন; ফ্রিল্যান্সিং করতে কি কম্পিউটার সায়েন্স ব্যাকগ্রাউন্ড জরুরি? কোন কোন স্কিল থাকলে একজন মানুষ ফ্রিল্যান্সিংকে পেশা হিসেবে নেওয়ার কথা ভাবতে পারে? ধরুন, আমি ইংরেজি সাহিত্য কিংবা একাউন্টিং নিয়ে পড়ছি, অথবা আমার এইচআর ব্যাকগ্রাউন্ড। আমি কি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারব? এ প্রশ্ন অনেকের মনে আসে। পাশাপাশি কোন ধরনের কাজের ডিমান্ড বেশি, সে সম্পর্কে সন্ধ্যা রায় আপনি আমাদের দর্শকদের যদি একটু ধারণা দিতেন…
প্রশ্ন-৩: প্রোফাইল, গিগ এবং বিডিং:
দর্শক আমরা জানলাম, ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য বেশ কিছু মার্কেটপ্লেস রয়েছে, আপওয়ার্ক, পিপল পার আওয়ার, ফাইভার, ফ্রিল্যান্সার ডটকম, গুরু, নাইন্টিনাইন ডিজাইনস ইত্যাদি। এসব মার্কেটপ্লেসে যারা নতুন কাজ শুরু করতে চান, তাদের চমৎকার একটি প্রোফাইল তৈরি করা জরুরি। অনেকে বলেন, একজন ফ্রিল্যান্সারের সফলতা নির্ভর করে ভালো একটি প্রোফাইলের ওপর। এটা কি সত্যি? সুমন সাহা, আপনি শুরুতে কিভাবে আপনার প্রোফাইলটি সাজিয়েছিলেন? আর যারা নতুন, তারা কোন কোন বিষয়ে ফোকাস করবেন? আপনার এ পরামর্শে অনেকেই উপকৃত হবেন আশা করি…
সম্পূরক প্রশ্ন: সুমন ভাই, আমি শুনেছি মার্কেটপ্লেসে প্রোফাইলের মতো গিগ তৈরিও জরুরি। এই গিগ বিষয়টি কি? কোন মার্কেটপ্লেসে সেটা কিভাবে তৈরি করতে হয়, একটু ধারণা দেবেন কি?
সন্ধ্যা রায়, ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য যে স্কিলগুলো দরকার, ধরা যাক সেই স্কিল আমার রয়েছে। আমি একটি সুন্দর প্রোফাইল করেছি, গিগও তৈরি করেছি। এখন তো কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে হবে। এক্ষেত্রে কাজের জন্য আমি কীভাবে বিড করব? বিড করার ক্ষেত্রে কী কী বিষয়ে সতর্ক হতে হবে? সেইসঙ্গে একটু বলবেন, বিড করতে গিয়ে বাংলাদেশিরা সাধারণত কী ধরনের ভুল করে থাকেন? আপনার নিজের বিড করে কাজ পাওয়ার কিছু অভিজ্ঞতাও যদি শেয়ার করতেন…
প্রশ্ন-৪: প্রশিক্ষণ:
সুমন সাহা, অনেক তরুণ-তরুণী ফ্রিল্যান্সিং করতে চান। কিন্তু তারা শুরুতে হয়তো কোনো গাইডলাইন পান না। সে জন্য একজন কীভাবে নিজেকে প্রস্তুত করবে? কীভাবে স্কিল বাড়াতে পারে? তিনি কি এজন্য বই পড়বেন, নাকি ইউটিউব দেখে শিখবেন, অথবা বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যেমন: ইউডেমি, কোর্সেরা, এডেক্স অথবা অনলাইন ব্লগ? না কি কোনো প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নেবেন, না কি সফল কোনো ফ্রিল্যান্সারের সহায়তা নেবেন? এক্ষেত্রে আপনার পরামর্শ কী?
সন্ধ্যা রায়, অনেকে বলেন, ভাসাভাসা জ্ঞান নিয়ে মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট খুললে হতাশ হতে হবে। এজন্য যে কোন একটি স্কিল ভালোভাবে শেখা জরুরি। আপনার কী মত?
প্রশ্ন-৫: অর্থ উত্তোলন:
সুমন সাহা, ফ্রিল্যান্সিং কাজটি যেমন ভার্চুয়ালি হয়, তেমনি উপার্জিত অর্থও মার্কেটপ্লেসের ভার্চুয়াল একাউন্টে জমা থাকে। কেউ কেউ বলেন, ডলার বেশিদিন ফেলে রাখা রিস্কি, এটা কতটুকু সত্য? একজন ফ্রিল্যান্সার কিভাবে নিজের উপার্জিত অর্থ দেশে আনবেন? এক্ষেত্রে ভ্যাট/ট্যাক্সের কোন বিষয় আছে কি? শুনেছি বিদেশ থেকে ডলার আনতে পারলে বাংলাদেশ সরকার প্রণোদনাও দিয়ে থাকে। এ বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই…
সন্ধ্যা রায়, আপনি প্রথম কিভাবে উপার্জিত অর্থ দেশে এনেছিলেন? কী কী হ্যাসেল আপনাকে পোহাতে হয়েছে? আর বর্তমানে কোন প্রক্রিয়ায় আপনি অর্থ আনেন?
প্রশ্ন-৬: কাজের সুযোগ ও বাজার নষ্ট:
সুমন সাহা, ফ্রিল্যান্সিং একটি মাল্টি বিলিয়ন ডলারের মার্কেট। অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইন্সটিটিউট ২০১৭ সালে এক প্রতিবেদনে বলেছে, ফ্রিল্যান্সিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। সারা বিশ্বের ফ্রিল্যান্স কাজের ২৪ শতাংশ করে ভারত। আর বাংলাদেশ করে ১৬ শতাংশ। বাংলাদেশের পর আছে যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, যুক্তরাজ্যের মতো দেশ। তারা এও বলেছে, বাংলাদেশের প্রায় ছয় লাখ নিবন্ধিত ফ্রিল্যান্সার আছেন এবং তাদের মধ্যে প্রায় পাঁচ লাখ সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। ফ্রিল্যান্সারদের এই কাজের মাধ্যমে দেশে প্রচুর অর্থ আসছে। ফ্রিল্যান্স মার্কেটে নিজেদের অবস্থান জোরালো করতে আরও বেশি বাংলাদেশির এখানে আসা উচিত বলে মনে করেন? আর করোনায় ফ্রিল্যান্সারদের কাজের আরো বেশি সুযোগ তৈরি হয়েছে, না কি বেশি প্রতিযোগিতায় কাজ পাওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে?
সন্ধ্যা রায়, অনেক বলছেন, বাংলাদেশিরা এখন কাজ পাওয়ার জন্য সস্তায় বা চিপ রেটে বিড করছেন। এতে ফ্রিল্যান্সারদের যে মার্কেটপ্লেস সেটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আরও শোনা যাচ্ছে, অনেক বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারের আইডি ব্লক করা হয়েছে এবং হচ্ছে। বিষয়টি সম্পর্কে আপনার মতামত কি? যদি এমনটি হয়ে থাকে তাহলে করণীয় বা প্রতিকার কি?
প্রশ্ন-৭: প্রতারিত ও প্রতারণা:
সুমন সাহা, বিভিন্ন আর্টিকেলে দেখলাম, মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সাররা অনেক সময় প্রতারণার ফাঁদে পড়েন। কাজ করিয়ে অর্থ না দেওয়া, কনট্রাক্টের বাইরেও অতিরিক্ত কাজ করানো, অতিরিক্ত কাজ না করলে ব্যাড রিভিউ দেওয়া। রাইটারদের ক্ষেত্রে একটি প্রতারণার কথা শুনি, টেস্ট প্রোজেক্ট। বলা হয়, প্রজেক্ট বা লেখা পছন্দ হলে পরবর্তী কাজ দেওয়া হবে। টেস্ট প্রজেক্টটি নেওয়ার পর সেই ক্লায়েন্টকে আর খুঁজে পাওয়া যায় না। আবার মিডলম্যান বা মধ্যস্বত্ত্বভোগী একটি শ্রেণী বিভিন্ন জায়গা থেকে কাজ এনে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের দিয়ে কম দামে করিয়ে নেন। মার্কেটপ্লেসে এ ধরণের প্রতারণার ঘটনা কি সত্য? কিভাবে ফ্রিল্যান্সাররা এ ধরণের প্রতারণা থেকে সাবধান হতে পারেন?
সন্ধ্যা রায়, শোনা যায়, ফ্রিল্যান্সাররাও অনেক ধরণের প্রতারণা করেন। অনেকে কাজের আগেই অগ্রিম পেমেন্ট চান। কিন্তু পরে আর কখনো প্রোজেক্ট ডেলিভারি দেন না। অনেকে কপিরাইটেড কাজকে নিজের বলে চালিয়ে দেন। কেউ কেউ ফেইক প্রোফাইলও খোলেন। এ বিষয়গুলো কি আপনি শুনেছেন? এতে তো মার্কেটের ওপর ব্যাড ইম্প্যাক্ট পড়ে। এ ব্যাপারে আপনার পরামর্শ কী? এতে দীর্ঘমেয়াদী কী ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব অন্যদের ওপর পড়তে পারে?
প্রশ্ন-৮: টপ রেটেড ফ্রিল্যান্সার:
সুমন সাহা, অনেক ফ্রিল্যান্সারের প্রোফাইলে গিয়ে দেখি তাদের জব সাকসেস ৯০ ভাগ বা শতভাগ। কাকে আমরা টপ রেটেড ফ্রিল্যান্সার বলব? এখানে কি জব সাকসেস ইম্পর্ট্যান্ট, নাকি অনেক কিছু এর সঙ্গে সম্পর্কিত? টপ রেটেড ফ্রিল্যান্সার হতে হলে কী করতে হবে? বা কিভাবে একজন টপ রেটেড ফ্রিল্যান্সার হতে পারেন?
সন্ধ্যা রায়, আমরা শুনি, কোন একটি বিড পেয়ে একটি কাজ করে দেওয়াই শেষ কথা নয়। নির্দিষ্ট ওই ক্লায়েন্টের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকলে ভবিষ্যতে আরও কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। তো, একজন ক্লায়েন্টকে ডেডলাইনের মধ্যে প্রজেক্টটি বুঝিয়ে দেওয়ার পর একজন ফ্রিল্যান্সারের আর কিছু করণীয় আছে? ওই ক্লায়েন্টের সঙ্গে নিয়মিত যোগযোগ কিভাবে রাখব? আপনি কিভাবে ক্লায়েন্টের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখেন?
প্রশ্ন-৯: রিস্ক এবং একাকিত্ব:
সুমন সাহা, ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হতে বেশ কয়েক বছর লেগে যায়। আপনাকেও অনেক ধৈর্য্য ধরতে হয়েছে। তারপরও কখনো অনেক কাজ পাওয়া যায়, আবার কখনো লম্বা সময় কাজ পাওয়া নাও যেতে পারে। এই পেশাটা কি একটু বেশি রিস্কি?
সন্ধ্যা রায়, যারা ফ্রিল্যান্সিং করেন, তারা একটি স্বাভাবিক অফিস বা কর্মপরিবেশ পান না। রাত জেগে কাজ করতে হয়। বন্ধু-বান্ধব বা আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। অনেক সময় মানুষের মধ্যে একাকিত্ব ভর করতে পারে। আপনার বা আপনাদের ক্ষেত্রে এমনটি কি হয়েছে? কীভাবে এই বিচ্ছিন্ন হওয়াটা এড়ানো যায়? আপনি বা আপনারা এজন্য কি করেন? আপনারা যেহেতু দম্পতি, আপনারা আরো ভালো বলতে পারবেন। আপনাদের অভিজ্ঞতা জানতে চাই।
প্রশ্ন-১০: শেষ প্রশ্ন:
সুমন সাহা, আপনার জীবনের গল্প নিয়ে একটি বই লেখা হয়েছে ‘ফ্রিল্যান্সার সুমনের দিনরাত’ নামে। আপনি অনেকবারই বলেছেন, আপনার বাবার একটি মিষ্টির দোকান ছিল। প্রচন্ড আর্থিক কষ্টে বড় হয়েছেন আপনি। আপনি টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় থার্ড ইয়ার পর্যন্ত একটি কম্পিউটারও কিনতে পারেননি। অনেক স্ট্রাগল শেষে এখন আপনি সফল। কিন্তু আপনি নিজে সফল হয়েই থেমে থাকেননি…নতুন ফ্রিল্যান্সারদের সহযোগিতার জন্য আপনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন। এজন্য আপনি www.sumansaha.me নামে একটি ব্লগ তৈরি করছেন। ভবিষ্যতে আপনি ফ্রিল্যান্সারদের জন্য আর কী কী করতে চান?
সন্ধ্যা রায়: আপনারা স্বামী-স্ত্রী দুজনই সফল। এজন্য আপনারা দুজনই দুজনকে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন, সাহস জুগিয়েছেন। এমন দু একটি অনুপ্রেরণার গল্প যদি আমাদের শোনাতেন। পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সারদের যুক্ত করে তাদের জন্য নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করতে কাজ করে যাচ্ছেন। আপনি বলেছেন, ভবিষ্যতে তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর উদ্যোক্তা হয়ে বড় পরিসরে কিছু করার স্বপ্ন দেখেন। আপনার স্বপ্নের কথা আমাদের বলবেন?
পরিশেষে, যদি অনুষ্ঠানটি আপনার কোনো প্রকার উপকারে আসে তাহলে দয়াকরে সকল আইটি ফ্রিল্যান্সার ভাইদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না। দেশের জন্য এবং দেশকে ভালোবেসে কাজ করুন। মার্কেটপ্লেসে আমাদের কাজের গুণমান ঠিক রাখতে সহযোগিতা করুন। কোনো প্রকার প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করুন, আমি যথাসাথ্য চেষ্টা করবো আপনার প্রশ্নের উত্তর বা আপনাকে সহযোগিতা করার জন্য।