এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, একজন আইটি ফ্রিল্যান্সারের প্রাত্যহিক জীবনের টাইম টেবিলটা ঠিক রাখা আসলেই কষ্টসাধ্য। কাজের পাশাপাশি নিজেকে শারীরিকভাবে সুস্থ রাখাও জরুরী। আমি বলব একটু চেষ্টা করে দেখুন, প্রথমদিকে হয়তো আপনি যেটা চাচ্ছেন সেটা হবে না। তবে চেষ্টা করে দেখতে পারেন। আপনিও আপনার সময় অনুযায়ী ২৪ ঘন্টার টাইম টেবিল সাজিয়ে নিতে পারেন, মানুষ মন থেকে চাইলে সবই সম্ভব। আমি যেভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছি:
- সাধারণত সকাল সাতটা থেকে আটটার মধ্যে ঘুম থেকে উঠার চেষ্টা করি।
- ঘুম থেকে উঠার পর হাত মুখ ধুয়ে, ফ্রেশ হয়ে অন্ততপক্ষে হাফ লিটার জল খেয়ে নিই।
- কিছুক্ষণ বিরতি দিয়ে ১০ মিনিটের মত, তারপর কয়েকটা খেজুর, বিভিন্ন প্রকার বাদাম এবং কলা খাওয়ার চেষ্টা করি।
- এরপর কিছুক্ষণ শারীরিক ব্যায়াম করার চেষ্টা করি 30 থেকে 40 মিনিটের মত বা যতক্ষন পারা যায়।
- এরপর সকালের নাস্তা খেয়ে নেই, সকালের নাস্তা হিসেবে সব সময় রুটি খাওয়ার চেষ্টা করি, সাথে থাকে সবজি বা ডিম।
- দুপুর ১২ টা থেকে আমার অফিসের কার্যক্রম শুরু হয়।
- আমি সাধারণত দুপুর দুইটা থেকে তিনটার মধ্যে দুপুরের খাবার খেয়ে নেওয়ার চেষ্টা করি।
- বিকালে বা সন্ধ্যার দিকে কিছু মৌসুমী ফল(যখন যেটা পাওয়া যায়) এবং গরুর দুধ (আমাদের গ্রাম থেকে নেওয়া) খাওয়ার চেষ্টা করি।
- আবার সন্ধ্যার দিকে, যদি অফিসের কাজের ফাঁকে একটু সময় পায় তাহলে আবারও ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মতো শারীরিক ব্যায়াম করার চেষ্টা করি।
- সাধারণত আমার অফিসের কার্যক্রম শেষ হয় রাত দশটা থেকে সাড়ে দশটার মধ্যে।
- আমি সাধারণত আমার রাতের খাবার, রাত নয়টা থেকে সাড়ে দশটার মধ্যে খেয়ে নেয়ার চেষ্টা করি।
- সবসময় চেষ্টা করি জাঙ্ক-ফুড, একটু তৈলাক্ত বেশি বা ভাজা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলার জন্য।
- আমি সবসময় চেষ্টা করি রাত বারোটা থেকে একটার মধ্যে ঘুমোতে যাওয়ার জন্য এবং এই সময় চেষ্টা করি ইলেকট্রনিক ডিভাইস থেকে দূরে থাকার জন্য।
- শনি-রবিবার আমার সাপ্তাহিক বন্ধ, এই দুইদিন পারতপক্ষে আমি কম্পিউটারের সামনে বসি না, যদি না কোনো আর্জেন্ট কাজ থাকে। আর এই দিনগুলোতে আমি পরিবার বা বন্ধু-বান্ধবদের সান্নিধ্যে থাকার চেষ্টা করি।
- নিজেকে আরো ফিট রাখার জন্য অবশেষে একজন ব্যক্তিগত ফিটনেস ট্রেইনার এর শরনাপন্ন হলাম।
নিয়মিত ব্যায়ামের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিতে হবে এবং মনে করতে হবে এই অংশটি আপনার প্রাত্যহিক কাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, খেয়াল রাখতে হবে যে শরীরে কমপক্ষে প্রতিদিন ১৫-২০মিনিট, পারলে আরো বেশি সময় রৌদ্র লাগাতে হবে। শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব হলে শরীর মেজ মেজ ভাব বা দুর্বলতা অনুভব হয়।
এই লিংকে গিয়ে পড়ে নিতে পারেন যেভাবে আমি আমার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার মেইনটেইন করে চলেছি।
পরিশেষে, যদি লেখাটি আপনার কোনো প্রকার উপকারে আসে তাহলে দয়াকরে সকল ফ্রীলান্সার ভাইদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না। দেশের জন্য এবং দেশকে ভালোবেসে কাজ করুন। কোনো প্রকার প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করুন, আমি যথাসাথ্য চেষ্টা করবো আপনার প্রশ্নের উত্তর বা আপনাকে সহযোগিতা করার জন্য।
একজন আইটি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে যেভাবে শুরু হয় আমার প্রাত্যহিক জীবন।
2 thoughts on “একজন আইটি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে যেভাবে শুরু হয় আমার প্রাত্যহিক জীবন।”