গবেষকরা বলছেন, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তনের কারণে প্রতি বছর প্রায় এক কোটি ১০ লাখ মানুষের মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণে যেসব অসুস্থতা হয়ে থাকে যেমন, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এবং কয়েক ধরনের ক্যানসার, এগুলো স্বল্পোন্নত দেশের মানুষের মৃত্যুর সবচেয়ে বড় কারণ। তবে সঠিক খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে সেই হার অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব।
আমাদের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করা অতি জরুরি, তাছাড়া আমরা যারা আইটি সেক্টরের কাজ করি তাদের আসলে ওয়ার্ক আউট করা কম হয়, ঘুম কম হয় এবং প্রচুর রাত জাগতে হয়। আসলে অনেকটা শুয়ে বসে কাজ করা হয়। এসব কারণ গুলোও শরীরে চর্বি জমার অন্যতম কারণ।
আমরা যারা একটু স্বাস্থ্য সচেতন তারা আসলে অনেক কিছু নিয়ে ভাবি, এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমার একদিন মনে হলো স্বাস্থ্যটা একটু চেক আপ করা দরকার। তো একদিন চলে গেলাম টেস্ট করতে এবং শরীরের যে প্রধান অর্গান গুলো আছে তার প্রতিটি টেস্ট করিয়ে নিলাম, সবই ঠিক আছে কিন্তু রক্তে কোলেস্টেরল ধরা পড়লো। আর মাত্রাও স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি, কিছুটা চিন্তিত হয়ে গেলাম এই বয়সেই কোলেস্টেরল।
রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে হৃদরোগ, ব্রেন স্ট্রোক, কিডনি ফেইলিওরের ঝুঁকিসহ নানা সমস্যা এড়ানো যায়। তবে প্রতিরোধ সব সময়ই প্রতিকারের চেয়ে ভালো। ডাক্তার অনেক কিছুই বললো, ভাই- ব্রাদারদের প্রতি মেসেজ থাকলো আপনারা একটু সচেতন হন, খাদ্যাভ্যাস-এ পরিবর্তন আনুন। ভাজাপুরি বা বেশি তেল জাতীয় খাদ্য একেবারেই পরিহার করুন, এবং প্রতিদিনের রান্নায় ভালো মানের ভোজ্যতেল ব্যবহার করুন। আর অবশ্যই প্রতিদিন নিয়ম করে দুবেলা ব্যায়াম করুন, অন্তত তিন লিটার পানি পান অত্যাবশ্যক। সবচেয়ে ভালো হয় বছরে 1 থেকে 2 বার স্বাস্থ্যটা নিয়মিত পরীক্ষা করে নেওয়া।
অবশেষে, নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপন প্রতিষ্ঠায় স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গঠন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুষম খাদ্য গ্রহণ, খাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট সময় মেনে চলা, পরিমিত পরিমানে খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ করা, ক্ষতিকরুন খাদ্যাভ্যাস পরিহার করা, সঠিক ও স্বস্থ্যসম্মত খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কিত বিধিনিষেধ মেনে চলা, শরীরের ওজন নিয়ন্তনের জন্য খাদ্য গ্রহণে সচেতন থাকা, খাদ্য সম্পর্কিত কুসংস্কারগুলো পরিহার করে ইত্যাদির মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গঠন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আবারো বলছি একটু স্বাস্থ্য সচেতন হোন এবং সবাই ভালো থাকুন এই কামনাই করি।