আইটি ফ্রিল্যান্সারদের একটা ভ্রান্ত ধারণা, আমি টিন সার্টিফিকেট করব না বা ফ্রিল্যান্সারদের যেহেতু ২০২৪ সাল পর্যন্ত ট্যাক্স মওকুফ তাই আমি কোন ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করবো না। তবে এখানে একটি বিষয়, আপনার আয় সীমিত বা করসীমা অতিক্রম না করলে এবং সঞ্চয় খুব বেশি না হলে টিন করা বা রিটার্ন দেয়ার প্রয়োজন নেই।
আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমরা যে রেমিটেন্স বাংলাদেশে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নিয়ে আসি তার সকল তথ্য আমাদের বাংলাদেশ ব্যাংক তথা বা ফ্রিল্যান্সাররা যে ব্যাংকে তাদের একাউন্ট মেনটেন করে চলছেন সেখানে আছে বা লিপিবদ্ধ থাকে।
সরকার চাইলেই যেকোনো সময় ফ্রিল্যান্সারদের আয়-ব্যয়ের হিসাব ট্র্যাক করতে পারবে। এখন হয়তো আমাদের একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কোন ট্যাক্স দিতে হয় না কিন্তু আমাদের আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হয় বা এটা আবশ্যক। অতএব সরকারের দেওয়া সময়সীমা পার হয়ে যাওয়ার পর কোন ফ্রিল্যান্সার যদি ট্যাক্স দিতে অনীহা প্রকাশ করে এবং যেকোনভাবে যদি আপনার জমাকৃত অর্থ বা সম্পদের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়ে, (সেটা যেকোন মাধ্যমেই হোক না কেন) আপনার রিটার্ন দেয়া (এবং প্রয়োজনে ট্যাক্স দেয়া) শুরু করা উচিত এখন থেকেই।
অন্যথায় আপনার সকল অর্থ-সম্পদ কালো টাকা বলে বিবেচিত হবে সরকারের কাছে। সরকার বা NBR তার উপর যে কোনো জরিমানা বা সাজা অর্পণ করতে পারে। তবে আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে সরকার এই সময়সীমা আরও বৃদ্ধি করবে এবং ফ্রিল্যান্সারদের অনেক ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা দিতে চাচ্ছে।
বিঃ দ্রঃ আপনার বয়স যদি ১৮ এর নিচে হয় এবং আপনি আইটি ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করে থাকেন তাহলে সেটা অন্য বিষয়। কারণ বয়স ১৮ এর নিচে হলে আপনি ট্যাক্সের আওতামুক্ত।
ট্যাক্স প্রদান নিয়ে আরো বিস্তারিত জানতে এই লিংকে ক্লিক করুন।
পরিশেষে, যদি লেখাটি আপনার কোনো প্রকার উপকারে আসে তাহলে দয়াকরে সকল ফ্রিল্যান্সারদের ভাইদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না। দেশের জন্য এবং দেশকে ভালোবেসে কাজ করুন। মার্কেটপ্লেসে আমাদের কাজের গুণমান ঠিক রাখতে সহযোগিতা করুন। কোনো প্রকার প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করুন, আমি যথাসাথ্য চেষ্টা করবো আপনার প্রশ্নের উত্তর বা আপনাকে সহযোগিতা করার জন্য।
2 thoughts on “আইটি ফ্রিল্যান্সারদের ট্যাক্স রিটার্ন নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা!”