সকাল আটটার মধ্যে ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করি, ঘুম থেকে ওঠার পর ফ্রেশ হয়েই আমার বড় ছেলেকে স্কুলে দিয়ে আসি আর এই ফাঁকে কিছুটা সময় হেঁটে নেই ২০ মিনিটের মত। ছেলেকে স্কুলে দেয়ার আগে কম্পিউটারটা অন করে রেখে যায় আর এসেই কাজে বসে আর্জেন্ট কাজ গুলো করার চেষ্টা করি আর এরই ফাঁকে সকালের নাস্তাটাও সেরে নেই।
সাধারনত আমি কম্পিউটারে এভেলেবেল থাকি সকাল ৯ টা থেকে রাত ১ টা অবধি, মাঝে-মধ্যে কিছুটা এদিক সেদিক হয়। এখন নতুন কাজের ইন্টারভিউ এর ক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট যদি জানতে চাই কোন সময় এভেলেবেল থাকবো, আমি আমার এই টাইমটেবিল (সকাল ৯ টা থেকে রাত ১ টা) ক্লায়েন্টকে জানিয়ে দেই এবং সাধ্যমত চেষ্টা করি তাদেরকে এইটাই মেন্টেন করার জন্য। আমার বর্তমান কাজগুলো এই টাইম-টেবিলেই করে যাচ্ছি।
কম্পিউটারে প্রতি ২০-৩০ মিনিট কাজ করার পর পর আমি নিজের অজান্তে একবার ৩০ সেকেন্ড থেকে এক মিনিটের জন্য উঠে পায়চারি করে আবার ডেস্কে বসি, এটি আসলে আমার একটা অভ্যাস করতে করতে অভ্যাস এ পরিণত হয়েছে। দুপুর বারোটা নাগাদ প্রয়োজনীয় কাজগুলো সেরে আবার ছেলেকে হেঁটে (যাওয়া -আসা মিলিয়ে ১৫ মিনিট) স্কুল থেকে নিয়ে আসি।
এসেই কিছুটা রিলাক্স এবং গোসল/স্নান সেরে তারপর আবার কাজে বসি। এই ফাঁকে দুপুরের খাবারও তৈরি হয়ে যায় আর দুপুরের খাবারের পর আবারোও কিছুটা সময় রিলাক্স করে তারপর আবার কাজে বসি। খাবারের ক্ষেত্রে সকালে রুটির সাথে সবজি আর ডিম, দুপুরে ভাত, রাত্রে অল্প পরিমাণ ভাত, আর মাঝের সময় গুলোতে কিছুটা ক্ষুধা অনুভব হলে ফল খাওয়ার চেষ্টা করি। ভাজা-পুরি একেবারেই এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি। খাওয়ার পর মিনিমাম ১ ঘন্টা পর খাবার জল পান করার চেষ্টা করি, এটিও আসলে আমার একটা অভ্যাস করতে করতে অভ্যাস এ পরিণত হয়েছে।
বিকালে কিছুটা সময় বড় ছেলেকে নিয়ে বাইরে যাই, উদ্দেশ্য আরো কিছুক্ষন হাঁটা। ঘরের সব প্রয়োজনীয় বাজার আমি নিজেই করার চেষ্টা করি আর কাছাকাছি দূরত্বে যে কাজগুলো থাকে সে কাজগুলো পায়ে হেঁটে যাওয়ার জন্য সব সময় চেষ্টা করি। এছাড়াও কিছুটা সময় ঘরে হালকা ব্যায়াম করার চেষ্টা করি (বুক ডন, কোমর ধরে উঠবস ইত্যাদি)।
শনি রবি আমার কাজের সাপ্তাহিক ছুটি, এই দিনগুলোতে পারতপক্ষে আমি কম্পিউটার ডেস্কে বসি না। তবে কিছুটা সময় ইনবক্সে জমা হওয়া প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করি। এই সময়ে আমার প্রয়োজনীয় যে ব্যক্তিগত কাজগুলো থাকে সেই কাজগুলো সেরে নেই বা একটু ঘুরার চেষ্টা করি, গ্রামে যাই, বন্ধু পরিবার-পরিজনদের সাথে কিছুটা আড্ডা দেওয়ার চেষ্টা করি।
এভাবেই চলে যাচ্ছে গত তিন বছরের বেশি সময় ধরে। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এই কামনাই করি। আর এই লিংকে গিয়ে পড়ে নিতে পারেন একজন আইটি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে যেভাবে শুরু হয় আমার প্রাত্যহিক জীবন।
পরিশেষে, যদি লেখাটি আপনার কোনো প্রকার উপকারে আসে তাহলে দয়াকরে সকল ফ্রীলান্সার ভাইদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না। দেশের জন্য এবং দেশকে ভালোবেসে কাজ করুন। কোনো প্রকার প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করুন, আমি যথাসাথ্য চেষ্টা করবো আপনার প্রশ্নের উত্তর বা আপনাকে সহযোগিতা করার জন্য।
One thought on “২০১৬ সাল থেকে যেভাবে আমি আমার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার মেইনটেইন করে চলেছি।”